SkyIsTheLimit
Bookmark

রচনা প্রযুক্তিগত দক্ষতা : পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে আমাদের প্রস্তুতি

ভূমিকা: ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তির উদ্ভাবনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘােষিত জিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকারি-বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রগতি লাভ করেছে এবং মােবাইল ও ইন্টারনেটের ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি প্রযুক্তি ও নানা উদ্ভাবনের হাত ধরে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ইতােমধ্যে পাবলিক সার্বিক ইনােভেশন এবং নানা উদ্ভাবনের জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি লাভ করেছে। টানা ৪ বছর প্রযুক্তি খাতে বিশ্বে সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার ওয়ার্ল্ড সামিট অন দি ইনফরমেশন সােসাইটি পুরস্কার অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্ব দরকারে স্থান করে নিয়েছে। 
প্রযুক্তি কী?/প্রযুক্তির সংজ্ঞা: প্রযুক্তি কী, সেটা সম্পর্কে জানার আগে বিজ্ঞান সম্পর্কে জানা ভালাে। 
বিজ্ঞান হলাে প্রকৃতি, প্রাণী, মহাকাশ, সমুদ্র, বায়ুমণ্ডলসহ আমাদের চারপাশে খুটিনাটি যা কিছু আছে তার সম্পর্কে সঠিক এবং পরিপূর্ণ ধারণা অর্জন করা। আমাদের চারপাশের গঠন, প্রকৃতি, কার্যপ্রণালিসহ সবকিছু সম্পর্কে ধারণা নেওয়াই হলাে বিজ্ঞান। আর যিনি কোন একটি বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান রাখেন, তাকে বলা হয় বিজ্ঞানী। আর অন্যদিকে বিজ্ঞানের নানা আবিষ্কারকে কাজে লাগিয়ে নতুন কোনাে কিছু তৈরি করা এবং
জীবনমানকে আরও উন্নত করাই হলাে প্রযুক্তি। যিনি বিজ্ঞানকে এই সকল কাজে লাগান তাকে বলা হয় প্রযুক্তিবিদ। যেমন- মােবাইল ফোন প্রযুক্তি একটি অবদান। কারণ এর প্রতিটি ক্ষুদ্র অংশ কোন না কোন বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেছেন। আর প্রযুক্তিবিদ সেই আবিষ্কারগুলাে একত্রিত করে মােবাইল ফোন তৈরি করেছেন। তাই বিজ্ঞান হলাে অজানাকে জানা, অদেখাকে দেখা। আর প্রযুক্তি হলাে বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কারকে কাজে লাগিয়ে নতুন কিছু তৈরি করা। 
প্রযুক্তির উদ্ভব: জীবনের প্রয়ােজনে স্বাচ্ছন্দ বিধানে বিজ্ঞানকে কাজে লাগানাের প্রয়াস মানুষের দীর্ঘদিনের কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিদ্যার বয়স দুশ বছরের বেশি নয়। ইংল্যান্ডই প্রথম এই বিদ্যাকে প্রযুক্তি তথা প্রয়ােগবিজ্ঞানকে আত্মস্ত করে এবং কাজে লাগায়। প্রযুক্তি প্রসারের ফলে সেখানে শিল্প বিপ্লব ঘটে। নানা প্রকার যন্ত্রপাতি মানুষের জীবনধারা বদলে দেয়। অন্যান্য দেশও এর ব্যবহার শুরু করে এবং দ্রুততার সাথে ছড়িয়ে পড়ে সারাবিশ্বে। তবে পশ্চিমা দেশগুলােই শিল্প বিপ্লবের প্রধান ধারক ও বাহক। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যে দেশ যত বেশি অগ্রগামী যে দেশ তত উন্নত, তত আধুনিক জীবনের অধিকারী। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি হাতে হাত ধরে চলছে ক্রমাগত। আজও তার চলার বিরাম নেই। নব নব প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে এবং ব্যবহারিক জীবনে তাকে কাজে লাগিয়ে আধুনিক মানুষ হয়ে উঠছে আরও আধুনিক। 
কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার: বিশ্বে প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতি ঘটেছে। এ উন্নতির ছোঁয়া লেগেছে কৃষি কাজেও। উন্নত দেশগুলাে প্রযুক্তির কল্যাণে কৃষিতে এরই মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন এনে ইতিবাচক ফল পেয়েছে। কৃষি প্রধান বাংলাদেশের কৃষিতেও প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। ক্রমেই সনাতনী কৃষি যন্ত্রপাতির স্থলে আধুনিক যন্ত্রপাতির জায়গা করে নেওয়া। দারুণ ইতিবাচক। সময়ের বিবর্তনে ঐতিহ্যবাহী লাঙল-জোয়াল, মই ও হালের গরুর যুগ এখন শেষের পথে। জমি চাষ, নিড়ানি, থেকে শুরু করে সার দেয়া, কীটনাশক ছিটানাে, ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানাের কাজ সবাই করা হচ্ছে আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে। এতে চাষাবাদে সময় কম লাগছে। সঙ্গে উৎপাদনও আগের তুলনায় বেড়েছে। দেশে কৃষিকাজে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বেড়েছে সত্য তবে এখনাে সব কৃষককে এর আওতায় আনা যায়নি। এখনাে বহু কৃষক চাষে, বিশেষ করে ফসল রােপণ ও কর্তনে কাস্তে-কোদালের মতাে সনাতনী হাতিয়ার ব্যবহার করছে। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি জরুরি দেশের সর্বত্র আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার নিশ্চিত করা। আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকবান্ধব। এগুলাে সম্পর্কে কৃষককে ধারণা দেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ কাজ। অনেক কৃষকই। সব আধুনিক যন্ত্রপাতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল থাকেন না। কৃষি কাজে যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা যায়, তার সবগুলাে সম্পর্কে কৃষককে জানাতে হবে। এ জন্য স্থানীয় পর্যায়ে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি মেলার আয়ােজন করা গেলে ইতিবাচক ফল পাওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার নিয়ে কৃষকদের সঠিক প্রশিক্ষণেরও প্রয়ােজন রয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি সম্পর্কিত যেকোনাে সমস্যার সহজ ও দ্রুত সমাধান যেন কৃষক পান, সেজন্য প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তবে আধুনিক যন্ত্রপাতির, দাম ও কৃষকের আর্থিক অবস্থা বড় প্রতিবন্ধক। এসব যন্ত্রপাতির দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করতে হবে। দেশের জমির আকার ও কৃষকের সামর্থ্য অনুসারে যন্ত্র উদ্ভাবন ও সেগুলাের ব্যবহার বাড়াতে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ কাজ করছে। তাদের আরও সক্রিয়তা দেখাতে হবে। তাই কৃষি যন্ত্রপাতি সুলভ করতে ও সব কৃষকের হাতে পৌছে দিতে সরকারি বেসরকারিভাবে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়ােজন রয়েছে।
শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার: শিক্ষার নানা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের শিক্ষাকে টেকসই ও মানসম্মত পর্যায়ে পৌছে দিতে সহায়তা করছে। ই-বুক প্রণয়ন, কম্পিউটারের মাধ্যমে পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন, শিক্ষার্থীর তথ্য সংরক্ষণ, শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ব্যবহার করে ডিজিটাল কন্টেন্ট মাধ্যমে পাঠ এর উপস্থাপন ইত্যাদি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যুগােপযােগী ও বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছে। 
চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার: আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রামের মানুষকে চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য টেলিমেডিসিন চিকিৎসাসেবা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে তথ্য ও যােগাযােগ বিভাগ। বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সে কারণে চিকিৎসাসেবায় প্রচলিত পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে ধীরে ধীরে জিজিটাল পদ্ধতিতে চিকিৎসাসেবা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যাতে কেউই চিকিৎসাসেবার বাইরে না থাকে। টেলিমেডিসিন একটি আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি। এ পদ্ধতি ব্যবহার করে গ্রামের প্রত্যন্ত মানুষকেও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন ইনফো সরকার প্রকল্প থেকে ২৫টি উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টেলিমেডিসিন স্বাস্থ্যসেবা চালু করা হচ্ছে বলে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি বিভাগ সূত্রে জানা যায়। এই ২৫টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দেশের বিখ্যাত ডাক্তারা বিনামূল্যে টেলিমেডিসিন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করবে। ২০০০ সালে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশে প্রতি ৪ হাজার ২৫১ জন লােকের জন্য মাত্র ১ জন ডাক্তার। ফলে অনেক মানুষেরই কষ্ট করে অনেক দূরের কোনাে চিকিৎসাকেন্দ্রে গিয়ে সেবা নিতে হয়। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে টেলিমেডিসিন স্বাস্থ্যসেবা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি বিভাগ। 
ব্যাংকিং ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহার: তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে দেশের ব্যাংকিং সেবায়। এক দশকের ব্যবধানে আমূল বদলে সাধারণ মানুষের দোরগােড়ায় পৌছে গেছে ব্যাংকের সেবা। অর্থ লেনদেন থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিসেবায় বিল এখন মেটানাে যাচ্ছে ঘরে বসেই। পাল্টে গেছে ব্যাংকের সামনে গ্রাহকের দীর্ঘ লাইনের চিরচেনা দৃশ্য। শহর গ্রামের দূরত্ব কমিয়ে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে আধুনিক ব্যাংকিং সেবায়। গত কয়েক বছরের চেষ্টায় তথ্যপ্রযুক্তিতে ব্যাংকিং সেবায় যােগ হয়েছে মােবাইল ব্যাংকিং, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম, অনলাইন সিআইইবি রিপাের্ট, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, ভিসা কার্ডের মাধ্যমে ই-বাণিজ্য। রাষ্ট্রয়ত্ত ও বেসরকারি খাতের সব ব্যাংকই এখন প্রযুক্তি নির্ভর ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের মৌলিক ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবা যেমন রেমিটেন্স বিতরণ, ইউটিলিটি বিল পরিশােধ, বেতন-ভাতা প্রদান, এটিএম ইত্যাদি সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী শুধু মােবাইল ব্যাংকিং গ্রাহকই এখন এক কোটিরও বেশি। যার অধিকাংশই পল্লি এলাকার নাগরিক। মােবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রামের মানুষ বিশ্বের যেকোনাে স্থান থেকে খুব সহজে রেমিটেন্স সংগ্রহ করতে পারছে। 
তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার: তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার যে জীবনযাত্রার মান বদলে দিতে পারে তা বিশ্বাস করতে এখন আর কেউ ভুল করছে না। তাই তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার এখন বাংলাদেশে অনেক বেড়েছে। স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত কম্পিউটার শিক্ষা কার্যক্রম প্রবর্তন করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত কম্পিউটারের ব্যবহার বাড়ছে। দেশে এখন কম্পিউটার হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ইন্টারনেট ও তথ্য প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৭-৮ হাজারের মতাে। সারা দেশে কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের শাে রুম রয়েছে সহস্রাধিক। ঢাকাতেই গড়ে উঠেছে ৫ শতাধিক হার্ডওয়্যার প্রতিষ্ঠান। সফটওয়্যারের প্রতিষ্ঠানও শতাধিক। তাছাড়া বর্তমানে কম্পিউটার মেলা, প্রােগ্রামিং প্রতিযােগিতা, ওয়েব ডিজাইন প্রতিযােগিতা এবং কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনার সিম্পােজিয়াম ও প্রদর্শনী অহরহ হচ্ছে। ঢাকাসহ সারাদেশের শহরগুলােতে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য সাইবার ক্যাফে' একের পর এক স্থাপিত হচ্ছে। 
গবেষণা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি: বিজ্ঞান, অর্থনীতি, রাজনীতি, কৃষি, চিকিৎসা প্রভৃতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতির পূর্বশর্ত হলাে গবেষণা। এ জন্য প্রতিটি দেশেই গড়ে উঠেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ইন্টারনেট বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তথ্যের আন্তঃপ্রবাহ চলে আসছে। ফলে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির গুরুত্ব দিন- দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক বিভিন্ন প্রকাশনা, জার্নাল, তথ্য, ফিচার প্রভৃতি আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির বদৌলতে আমরা খুব সহজে ঘরে বসেই পেয়ে যাই। আর তাই কাজে লাগিয়ে আমাদের গবেষণাধর্মী কাজ সম্পন্ন করে থাকে। তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশেও সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে এই প্রযুক্তির সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছে। এ ধরনের সংস্থাগুলাের মধ্যে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরাে, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়া বিভিন্ন আর্কাইভ, বিভিন্ন এনজিও, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এ দেশের মানবাধিকার কমিশন লাইব্রেরি, জাদুঘর, ক্রীড়া সংগঠন বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন তাদের নিজ নিজ গবেষণা কাজে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যম হিসেবে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, প্রযুক্তিই বর্তমান বিশ্বে সকল প্রকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মূল হাতিয়ার। যে জাতি প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ সে জাতির সার্বিক অবস্থাও তত বেশি উন্নত। বাংলাদেশও প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনে অনেক সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। সবচেয়ে বেশি সফল হয়েছে। কৃষি ও তথ্য প্রযুক্তি খাতে। তবে অন্যান্য খাতগুলােতেও বাংলাদেশ প্রযুক্তির ব্যবহারের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার অচিরেই প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত হয়ে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিম্ব পরিমণ্ডলে নিজ অবস্থান সুদৃঢ় ও উজ্জ্বল করতে সক্ষম হবে এটাই আমাদের একমাত্র প্রত্যাশা।

লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
Post a Comment

Post a Comment