SkyIsTheLimit
Bookmark

রচনা বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রায় তরুণদের করণীয়

ভূমিকা:
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয়েছে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। দীর্ঘ দিনের পরাধীনতার জিঞ্জির থেকে পরিত্রাণ পাওয়া এ দেশটির মাথা উঁচু করে দাঁড়ানােটা ছিল সত্যিই এক বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এদেশের তরুণ সমাজ ও দক্ষ নেতৃত্বের ফলে আজ বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। অব্যাহত উন্নয়ন আর স্বনির্ভর অর্থনৈতিক রূপরেখা প্রণয়ন করে এদেশটি ইতােমধ্যে বিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছে। এখন সােনারবাংলা খ্যাত বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছে; ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে একটি উদ্ভাবনী দেশ হিসেবে বিশ্বমণ্ডলে পরিচিত হতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য পূরণে এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এখন সময় এসেছে দেশের তরুণ সমাজকে তাদের নিজেদের দায়িত্ব, কর্তব্য ও করণীয় সম্পর্কে জানার ও সে অনুযায়ী প্রয়ােজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার।
অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহতভাবে এগিয়ে চলছে। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসে বাংলাদেশের উন্নয়ন বিষয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল সাসটেইনিবিলিটি অ্যানালাইসিস করেছে, তাতে দেখা যায় এখনও জিডিপির অনুপাতে অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিশ্ব থেকে নেয়া বাংলাদেশের যে ঋণ, তা খুব একটা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় যাওয়ার আশঙ্কা কম। রপ্তানি বাজার স্লোডাউন হওয়ার ঝুঁকি আছে। এছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়নে যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, সেখানে যদি কোনও ধরনের বাধা তৈরি হয়, তবে অগ্রযাত্রা ঝুঁকিতে পড়বে। রিপাের্টে বলা হয়, মধ্যম আয়ের মহাসড়কে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত আছে এবং দ্রুত বাড়ছে। শিল্প, নির্মাণ খাতের প্রবৃদ্ধি এই আকার বৃদ্ধির পেছনে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। ব্যক্তি খাতের বিনিয়ােগ যদিও জিডিপির অনুপাতে স্থবির, তবে কিছু কিছু বাড়ছে। সেটা ভবিষ্যতেও বাড়বে বলে আশা করা যেতে পারে। রপ্তানি ও রেমিটেনেস বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। চলতি অর্থবছরও সেটা অব্যাহত থাকবে। এগুলাে যদি ঘটে তবে প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। সামষ্টিক অর্থনীতিতে যে চাপগুলাে আছে তা অদূর ভবিষ্যতে থাকবে না।
জনশক্তি রপ্তানিতে এগিয়েছে বাংলাদেশ: জনশক্তি রপ্তানিতে গত ৪১ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে এবার। চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে গেছে প্রায় ১০ লাখ কর্মী। সর্বশেষ হিসাব বলছে ২০১৭ সালে, ১ জানুয়ারি থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯ লাখ ৯০ হাজার ৭২৮ জন কর্মী বিদেশে গেছে। বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরাের তথ্যানুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবেই গেছে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ কর্মী। এর পরই আছে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কাতার ও ওমান। পুরুষের পাশাপাশি নারী কর্মী বিদেশে যাওয়ার দিক থেকেও সৌদি শ্রমবাজার এগিয়ে আছে। ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে এক লাখ ১৯ হাজার ৬৯৭ নারী কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে। এর মধ্যে সৌদি আরবেই গেছে ৮১ হাজার ৫১৩ জন। বাংলাদেশের প্রায় কয়েক লাখ কর্মী কর্মসংস্থানের জন্য বিশ্বের ১৬০ টি দেশে গেছেন। জি টু জি পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় জনপ্রতি ২৭ হাজার টাকা ব্যয়ে কর্মী পাঠানাে হচ্ছে। ইতিমধ্যে সাত হাজার কর্মী পাঠানাে হয়েছে। ২০১৪ সালে ৪ লাখ ২৫ হাজার ৫৪৭ জন কর্মী পাঠানাে হয়েছে এবং তাদের পাঠানাে রেমিট্যান্স ১৪ দশমিক ৯২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা জাতীয় অর্থনীতিতে জিডিপির ১১ শতাংশের বেশি। 
পদ্মাসেতু উন্নয়নের বড় হাতিয়ার: পদ্মা সেতু একটি কেবল একটি সেতুই। নয়, দেশবাসীর একটি স্বপ্নের নাম, একটি আশার নাম। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে রেল ও সড়ক যােগাযােগের পাশাপাশি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলােতে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রেও নতুন দিগন্ত উন্মােচিত হবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে পদ্মা সেতু। বিশেষজ্ঞদের ধারণায়, পদ্মা সেতু দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়াবে অন্তত ১ দশমিক ২ শতাংশ। পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে যােগাযােগব্যবস্থায় নতুন মাইলফলক তৈরি হবে। দক্ষিণাঞ্চল অর্থনৈতিক দিক থেকে সমৃদ্ধি লাভ করবে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষি ও অন্যান্য দিক থেকে এগিয়ে যাবে। পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হলে ওই অঞ্চলের কয়েক কোটি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। এত দিন যেসব দরিদ্র জনগােষ্ঠী অর্থনীতির কশাঘাতে নিমজ্জিত ছিল তাদের জন্য আলাের পথ তৈরি হবে। এত দিন যেসব কৃষিপণ্য যােগাযােগব্যবস্থার জন্য ভালাে লাভের মুখ দেখেনি, এখন সেসব কৃষিপণ্য বহন সহজ হবে। ফলে কৃষকদের জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকে ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হবে। পণ্য বহন সহজলভ্য হলে পণ্যের দামও হ্রাস পাবে। দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের মধ্যে বিরাট এক সেতুবন্ধ তৈরি হবে সেতুর সুবাদে। দক্ষিণাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা রাজধানীসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষা গ্রহণে যেতে পারবে। পদ্মা সেতু হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বিরাট সম্ভাবনার ক্ষেত্র। প্রকল্প দেশের অর্থনীতিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। সেতু দেশের যােগাযােগব্যবস্থায় যােগ করবে নতুন মাইলফলক। সেতুটির ফলে শুধু অর্থনীতি ও যােগাযােগব্যবস্থার নতুন দ্বার উন্মােচিত হবে না বরং ওই অঞ্চলের মানুষের সামাজিক, রাজনৈতিকসহ সব ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায় রচিত হবে। 
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ও নতুন সম্ভাবনা: তথ্যপ্রযুক্তিতে যে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে, সে কথা আর এখন নতুন কিছু নয়। সত্যিকার অর্থেই ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে যা বােঝায়, সে পথ ধরেই এগিয়ে চলছে দেশ। প্রযুক্তি খাত দেশের অভ্যন্তরীণ উন্নতিতে বড় ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে। যাতে আমরা আশাবাদী, খাত শিগগিরই দক্ষ একটি জনশক্তি গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। বিদেশে আরও দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি করার সুযােগ তৈরি হবে। আমাদের দেশীয় বিশেষজ্ঞরা তখন বিদেশের মাটিতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। তাতে বৈদেশিক মুদ্রাও যেমন আসবে, তেমনি বাড়বে সুনামও। ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে সবচেয়ে বড় যে ধাপটি অতিক্রম করলাম আমরা, সেটি হলাে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১। বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক এখন আমরা। প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা স্যাটেলাইট দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ মূলত মােটা দাগে তিন ধরনের সুফল পাবে। প্রথমত, স্যাটেলাইটের সমতা বিক্রি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় ও সাশ্রয়। দ্বিতীয়ত, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবার সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে। তৃতীয়ত, দুর্যোগ পরিস্থিতি মােকাবিলা ও ব্যবস্থাপনায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে স্যাটেলাইট। এ ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজেও স্যাটেলাইটকে কাজে লাগানাে সম্ভব বলে এরই মধ্যে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত। ঝড় বা বড় ধরনের দুর্যোগে যােগাযােগব্যবস্থা সচল রাখতেও স্যাটেলাইটকে আমরা ব্যবহার করতে পারব। বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগে মােবাইল নেটওয়ার্ক অনেক সময় অচল হয়ে পড়ে। এমন দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে স্যাটেলাইট দারুণ কাজে আসবে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের যােগাযােগব্যবস্থা চালু রাখা সম্ভব হবে। সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের মানুষের কাছে ইন্টারনেট ও ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়া যাবে। 
উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে তরুণদের গুরুত্ব: বাংলাদেশের উন্নয়নের এই যাত্রায় দেশের তরুণ সমাজের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, দেশের তরুণ সমাজকে তার অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে হবে। তবে বিশ্বায়ন ও প্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নয়নের কারণে তরুণদের এই যাত্রা খুব সহজ হবে না, যদি না তারা সঠিকভাবে নিজেদের জ্ঞান, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, ইচ্ছা, সম্ভাবনা ও সীমিত সম্পদের সঠিক সমন্বয়ের মাধ্যম তৈরি করে। এই তরুণদের সামনেই আজ সফল উদ্যোক্তা হওয়ার মাধ্যমে নিজের ও পরিবারের উন্নয়ন এবং বিশ্বের বিভিন্ন আর্থসামাজিক সমস্যাগুলাে দূর করার সুযােগ রয়েছে। সুযােগ আছে দক্ষ ব্যবস্থাপক হিসেবে বিভিন্ন জাতীয়, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলােকে নেতৃত্ব দেওয়ার। 
বাংলাদেশ তরুণদের দেশ: ইউএনডিপির আঞ্চলিক মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন বাংলাদেশ এখন তরুণদের দেশ। দেশের ৪৯ শতাংশ মানুষের বয়স ২৪ বছর বা তার নিচে। আর, কর্মক্ষম মানুষ আছে ১০ কোটি ৫৬ লাখ, যা মােট জনসংখ্যার ৬৬ শতাংশ। জনসংখ্যাতাত্ত্বিক এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বড় সুযােগ এনে দিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে কর্মক্ষম জনসংখ্যা (১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী) ১০ কোটি ৫৬ লাখ। অর্থাৎ মােট জনসংখ্যার ৬৬ শতাংশই কর্মক্ষম। আগামী ১৫ বছরে, অর্থাৎ ২০৩০ সালে কর্মক্ষম জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১২ কোটি ৯৮ লাখে, যা মােট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ। দেশে বয়স্ক বা ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষ ৭ শতাংশ। ২০৩০ ও ২০৫০ সালে তা বেড়ে দাঁড়াবে যথাক্রমে ১২ ও ২২ শতাংশে। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ইউএনডিপি বলছে, জনসংখ্যাতাত্ত্বিক এই সুযােগ কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে আরও বেশি ও ভালাে কাজের সুযােগ সৃষ্টি করতে হবে, শ্রমশাস্ততে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। আর বিনিয়ােগ করতে হবে উৎপাদনশীল খাতে। 
অব্যাহত উন্নয়নে তরুণদের করণীয়: তরুণরাই জাতির কর্ণধার, তরুণরাই বাংলাদেশ। দেশে যে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে তাকে আরাে সামনে বেগবান করতে হলে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রস্তুত হতে হবে তরুণদের, কারণ তারাই বাংলাদেশ। তবে সঠিক প্রস্তুতি শুধু তরুণদের নয়, আমাদের এই দেশকেও নিয়ে যাবে এক অনন্য উচ্চতায়। তাদের উদ্ভাবনী ও উদ্যোগী নেতৃত্বেই উন্নত বাংলাদেশ হবে। এজন্য তাদের কিছু করণীয় রয়েছে, সেগুলাে হলাে— 
১. তরুণদের বড় স্বপ্ন দেখতে হবে। এই স্বপ্ন হবে তার আবেগ, জীবনের উদ্দেশ্য ও ধৈর্যশীল আচরণের সমন্বয়ে গড়া। 
২. আন্তবিষয়ক (ইন্টারডিসিপ্নিনারি) শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া জরুরি। সে যে বিষয়েই পড়াশােনা করুক, শিক্ষার অন্যান্য বিভাগের ব্যাপারেও জ্ঞান রাখা উচিত। বিজ্ঞানের ছাত্র যেমন ব্যবসায় ও মানবিকের বিষয়গুলাের ওপর জ্ঞান অর্জন করবে, ঠিক তেমনি ব্যবসায় শিক্ষার ছাত্রেরও বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও মানবিক বিষয়গুলাে জানা এবং নিজের জীবনের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সমন্বয় করা উচিত। 
৩. দক্ষতা অর্জন করার প্রচেষ্টা থাকতে হবে। কারিগরি, ব্যবস্থাপকীয় ও আচরণগত গুণাবলির সমন্বয়ে সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী ভাবনা থাকতে হবে। 
৪. অভিজ্ঞতা অর্জন করার চেষ্টা খুবই জরুরি। দুই সেমিস্টারের মাঝখানের ছুটিতে ইন্টার্ন করা যেতে পারে, সহশিক্ষা কার্যক্রমও নিজেকে প্রস্তুত করার একটা উপায়। 
৫. আজকের সময়ে প্রস্তুত হওয়ার জন্য যা দরকার, তা হলাে- নেটওয়ার্কিং। অনেক মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে, কথা বলতে হবে, সম্পর্ক তৈরি করতে হবে, পরামর্শ নিতে হবে। বিজ্ঞজনের কাছাকাছি থাকতে হবে।
উপসংহার: বাংলাদেশ সার্বিক ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি করেছে। সে ধারা। এখনাে অব্যাহত রয়েছে। উন্নয়নের এ ধারাকে আরাে সম্প্রসারিত করতে এদেশের প্রধান চালিকাশক্তি তরুণদের ভুমিকা অনস্বীকার্য শিক্ষা, চিকিৎসা, শিল্প, সাহিত্য, অর্থনীতি, রাজনীতি সহ সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে তরুণ সমাজকে। তবেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশেকে বিশ্বের বুকে উন্নত দেশে পরিচিত করা সম্ভব হবে।

লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
Post a Comment

Post a Comment