SkyIsTheLimit
Bookmark

পরীক্ষার ভয় কে জয় করার ৮ কৌশল!


ছোট্ট একটা শব্দ পরীক্ষা অথচ যেটা আমাদের অধিকাংশের কাছেই যুদ্ধ বা দূর্যোগের মতো। শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই আমাদের সকলের অসংখ্য পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে হয়েছে, এখনও করতে হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও করতে হবে। তাই, ভয় না পেয়ে পরীক্ষাটাকে কীভাবে সহজ ও আপন করে নেওয়া যায় এবং ঠিক কি কি কৌশল অবলম্বনে পরীক্ষা হয়ে উঠবে অপেক্ষাকৃত সহজতর সেগুলোর সন্ধান করাটাই শ্রেয়।

পরীক্ষার আগের সময়টা বেশ গুরুত্বপূর্ন। এ সময়টাকে যে যতটা গুছিয়ে কাজে লাগাতে পারবে পরীক্ষার হলে তার কাজ ততটাই সহজ হয়ে যাবে।

১। ফোনের সব নোটিফিকেশন বন্ধ রাখা :
মোবাইল আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের প্রজন্মের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু, মোবাইল একবার হাতে নিয়ে ফেসবুকে লগইন করলে সেখান থেকে বের হওয়ার রাস্তাটা কোনও এক অজ্ঞাত কারণে গায়েব হয়ে যায়। তাই, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা তোমার ডিজিটাল প্রোফাইল একেবারে ডিঅ্যাক্টিভেট করতে না পারলেও অন্তত পরীক্ষার কয়েকটা দিন বন্ধ রাখো ফোনের সব নোটিফিকেশন যাতে করে তোমার পড়াশোনা কিংবা পরীক্ষার ফলাফল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোনও বিরূপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

২। রুটিনের ব্যাকআপ রাখা:
 পরীক্ষার রুটিন একটি অতি প্রয়োজনীয় বিষয়। রুটিনের কপি নিজের কাছে রাখার পাশাপাশি পরিবারের অন্য সদস্যের কাছেও দিয়ে রাখতে পারো যাতে করে কখনও কোনও পরীক্ষার সময়ে কোনও ধরণের পরিবর্তন এলে তোমাকে ধর্ম পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে গিয়ে বিজ্ঞান পরীক্ষা দিতে না হয়।

৩।। নিজের একটি চেকলিস্ট বানিইয়ে নাওয়া:
পরীক্ষার হলে যাওয়ার ঠিক আগের সময়টা বেশ গোলমেলে। এ সময়টায় কেন যেন নিজেকে নিয়ে বড্ড সংশয়ে পড়তে হয়। পরীক্ষার হলে প্রয়োজনীয় সকল উপকরণ একসাথে ঠিক করে গুছিয়ে নেওয়ার পরও কেন যেন সংশয় থেকেই যায়। এ সমস্যা দূর করতে আগেভাগেই বানিয়ে নাও একটি চেকলিস্ট যেখানে তোমার প্রয়োজনীয় সব উপকরণের নাম লেখা থাকবে। ফাইলে একে একে রাখার সাথে সাথে লিস্টে ওই নামের ওপর চিহ্ন দিয়ে দিলেই আর ঝামেলা হবে না।

এবার আসা যাক, পরীক্ষার হলে এবং পরীক্ষা চলাকালীন সময়টাতে কি কি করণীয় ।

৪। হাসির সদ্ব্যবহার করা: 
আমাদের সবার কাছেই হাসি নামক এক অতি শক্তিশালী অমোঘ অস্ত্র রয়েছে। পরীক্ষার হলে স্বভাবতই আমরা ভয় ও আতঙ্কগ্রস্ত থাকি। ওই সময়টায় হাসি হতে পারে তোমার ভয় দূরীকরণ দাওয়াই। আমরা সবাই জানি, হাসলে আমাদের দেহে ‘ডোপামিন’ নামক একটা হরমোন এর নিঃসরন ঘটে যা আমাদের আনন্দের অনুভূতি জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করে। আর তোমার হাসি ক্ষেত্রবিশেষে তোমারই কোনও মেধাবী বন্ধুর আত্মবিশ্বাসকে হুট করে তলানিতে নামিয়ে দিয়ে তোমাকে প্রতিযোগীতার দৌড়ে এগিয়ে দিতেও সক্ষম।
তাই, হাসিটাকে কাজে লাগাও!

৫। ঘামের বিপদ: 
আমাদের অনেকেরই হাত-পা ঘেমে যাওয়ার মতো সমস্যা রয়েছে। কারও ক্ষেত্রে এটা শারীরিক কারও বা কেবল ভয় পেলে বা দুশ্চিন্তা করলে এ সমস্যা দেখা দেয়। পরীক্ষা যেহেতু ক্ষেত্রবিশেষে কারও কাছে বিভীষিকা কিংবা আতঙ্ক তাই পরীক্ষার হলে হাত-পা ঘামাটাও একটা বাজে সমস্যা। হাত ঘেমে ভিজে গেলে বেঞ্চে লেগে থাকা ময়লা হাতের সংস্পর্শে এসে পরীক্ষার খাতা কিংবা ওএমআর শিটের পরিচ্ছন্নতা নষ্ট করে দিতে পারে। তাই, যাদের এ ধরণের সমস্যা আছে তারা খাতা কিংবা ওএমআরের ওপর রুমাল রেখে লেখার অভ্যাস করতে পারো।

৬। আগেই অতিরিক্ত নিয়ে রাখা উচিত অতিরিক্ত খাতা:
পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর খাতার সাথে সংযুক্ত লেখাভর্তি পৃষ্ঠার ওপর নির্ভর করে! এটা আমাদের প্রচলিত ধারণা যদিও অনেকক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য নয়। তবুও অনেকের হাতের লেখার আকারজনিত কারণে অতিরিক্ত কাগজ বা খাতার প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে আগে ভাগেই বেশী করে অতিরিক্ত খাতা পরীক্ষকের কাছ থেকে চেয়ে নেওয়া উচিত যাতে করে পরে আর কোনও সমস্যায় না পড়তে হয়।

৭। পরীক্ষার পর নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর মিলানো বর্জনীয়: 
আমাদের অনেকেরই পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়েই বন্ধুদের সাথে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন নিয়ে ছোটখাটো আলোচনা শুরু করে দিই। ক্ষেত্রবিশেষে যেটা পরবর্তী পরীক্ষার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। যে পরীক্ষা দেওয়া হয়ে গিয়েছে সেটার ভুল খুঁজে পেলেই বা আর কতটুকু লাভ হবে বরং পরের পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার মানসিকতাটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেটা নিশ্চয়ই কারও কাম্য নয়!

৮। ভবিষ্যত ভাবা উচিত ভবিষ্যতেই: 
আমাদের অনেকেরই এমন কিছু বন্ধু আছে যে কিনা এক ক্লাসে অধ্যয়নরত থাকাকালীনই পরবর্তী ক্লাসের পড়াশোনা করতে থাকে যেমন- এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার আগেই ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া; যেটা কখনও কখনও চলমান অবস্থানের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এ ব্যাপারটা পরীক্ষার সময় বাদ দিতে হবে।

লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
Post a Comment

Post a Comment