মূলতাব : শরীরকে শৃঙ্খল ও সংযমের ভিতর দিয়ে বলিষ্ঠ কষ্টসহিষ্ণু করে গড়ে তােলা উচিত। এ জগৎ কর্মময়। কর্মহীন জীবন বৃথা।
সম্প্রসারিত-ভাব : যে মানব শিশু কর্মময় জীবন ও জগতের সাথে সম্পর্কযুক্ত নয় অলসতা ও অতি স্নেহের দ্বারা বড় হয়েছে, তাদের জীবন বৃথা। যার সহ্য শক্তি নেই তার দেহ সহজেই দুর্বল ও অসুস্থ হয়ে পড়ে। অভ্যাসের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হলে শরীর অনায়াসে বিপুল সহ্যশক্তি লাভ করতে পারে। এ ক্ষণস্থায়ী জীবনে কোন-না-কোন কাজ করে বাঁচতে হবে। তাই জীবনের প্রথম অবস্থা হতেই শরীরকে এমনভাবে গঠন করতে হবে যাতে যে কোন কাজে অভ্যস্ত হওয়া যায়। আমরা যদি চাষী মজুরদের জীবনের প্রতি লক্ষ্য করি, দেখতে পাই তারা রােদ-বৃষ্টি-ঝড় সকল কিছুর সাথে শরীরের মিল, রেখে কাজ করতে পারছে। তাদের কোন প্রকার কষ্ট হচ্ছে না। আর যারা শরীরকে পারিপার্শ্বকতার সাথে সহনশীল করে গঠন করেনি তারা অচল অসার ও পাত্বের জীবন যাপন করছে। শারীরিক শ্রম ব্যতীত এ জগতের কেউই জীবনধারণ করতে পারে না। দৈনন্দিন জীবনে প্রয়ােজনের তাগিদে মানুষের শরীরকে এমনভাবে গঠন করতে হবে যাতে সকল কাজেই পারদর্শিতা ও সহনশীলতা থাকে। জীবনকে সুন্দর ও বলিষ্ঠরূপে গড়ে তােলার জন্য দুঃখ ও ঘাতসহ শরীর একান্ত দরকার।
Post a Comment