SkyIsTheLimit
Bookmark

ভাবসম্প্রসারণ "এ জগতে হায় সে-ই বেশি চায় আছে যার ভুরি ভুরি রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙ্গালের ধন চুরি

মূলভাব : এ পৃথিবীতে সম্পদশালীদের দুর্নিবার তৃষ্ণা ও লােলুপ দৃষ্টি রয়েছে সম্পদের প্রতি। প্রচুর সম্পদ আহরণের জন্য তারা ব্যাপৃত থাকে। তাই দীনহীন মানুষের সামান্য সম্পদটুকু কেড়ে নেয়ার জন্য তারা প্রসারিত করে তাদের ভয়ঙ্কর কালােথাবা।
সম্প্রসারিত-ভাব : ধনসম্পদ উপার্জনের উদ্ভূত রকমের তৃষ্ণা মানুষকে ক্রমাগত তাড়িত করে। যে যত পায় সে তত বেশি। চায়। এ চাওয়া এবং পাওয়ার কোন শেষ নেই। রাশি রাশি সম্পদ জমিয়ে সম্পদের পাহাড় তৈরি করে মানুষ। তারপরেও সে তৃন্ত হয় না। সম্পদ বাড়ানাের নেশায় সে দুর্দমনীয় হয়ে ওঠে। ভাল-মন্দ, হিত-অহিত, সত্য-মিথ্যা ইত্যাদি বিষয়কে জলাঞ্জলি দিয়ে বিত্ত ও বৈভবের মােহে সে দুরন্ত গতিতে ছুটে চলে। নির্বিচারে সম্পদ সংগ্রহের ফলে সে গরিবের সামান্য সম্পদের প্রতি হাত বাড়ায়। গরিবের শেষ সম্বলটুকু কেড়ে নিয়ে সে তার প্রাচুর্যকে আরও স্ফীত করতে সচেষ্ট হয়। অপরদিকে অনাহারক্লিষ্ট গরিব মানুষেরা তাদের সামান্য সম্বল নিয়ে নিরিবিলি জীবন যাপন করে। ক্ষুধা, দারিদ্র্য তাদের নিত্যদিনের সহচর। তবুও ধনীর ঐশ্বর্যের প্রতি তারা কখনােও লােলুপ দৃষ্টিতে তাকায় না। রাজা-মহারাজাদের বিলাসবহুল জীবনের খবরাখবর তারা কখনাে রাখে না। কোন রকমে খেয়ে-পরে বাঁচার মধ্যেই তারা শান্তি খুঁজে নিতে চায়। কিন্তু, এইটুকু সুখ আর এইটুকু শান্তিতেও বাধা সৃষ্টি করে উচু তলার ধনিক সম্প্রদায়। তাদের অপরিসীম ধনতৃষ্ণা এক সময় গ্রাস করে গরিবের শেষ সম্বল ভিটেবাড়ি। ছলে-বলে, কৌশলে কিংবা শক্তি খাটিয়ে, ভুখা-নাঙা মানুষের শেষ সম্বলটুকু ছিনিয়ে এনে এরা ভয়ঙ্কর অর্থতৃষ্ণার আগুনে নিজেদেরকে আত্মাহুতি দেয়। এভাবেই দরিদ্র মানুষেরা পরিণত হয় পথের ভিক্ষুকে। শােষিত-বঞ্চিত নিপীড়িত মানুষের ক্রন্দন ধ্বনি আর দীর্ঘনিশ্বাসে ভারি হয়ে উঠছে পৃথিবীর বাতাস। সামান্তবাদী আর পুঁজিবাদী ব্যবস্থার ফলে দ্ররিদ্র মানুষের উপর নেমে এসেছে অমানিশার কালাে অন্ধকার-তার অবসান হওয়া প্রয়ােজন।

লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
Post a Comment

Post a Comment