SkyIsTheLimit
Bookmark

রচনা তােমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব

ভূমিকা: কালে কালে এ মাটির পৃথিবীর মানুষের মন ভুল, ভ্রান্তি, অজ্ঞতা, কুসংস্কারে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে; তখন মানুষ প্রায় সকল আদর্শ-নীতি- নৈতিকতা ভুলে পাপের মধ্যে ডুবে যায়। এ ধরনের কালিক প্রেক্ষাপটে যুগে যুগে পৃথিবীতে মহাপুরুষগণের আবির্ভাব ঘটেছে পথভ্রষ্ট মানবজাতিকে মুক্তি ও কল্যাণের পথে নিয়ে যেতে। হযরত মুহম্মদ (স) আরব জাতিগােষ্ঠী যখন পাপের কালিমায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল তখন তাদের ত্রাণের লক্ষ্যে আবির্ভূত হন। তিনি মধ্যপ্রাচ্যের মরুভূমিতে তাঁর আদর্শ প্রচার করলেও তা বিশ্বজনীন ছিল। তার প্রচারিত ইসলামের মহান আদর্শে আরব জাতিগােষ্ঠীসহ বিশ্ববাসী সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা, শান্তির উদাত্ত আহ্বানে নতুন করে জেগে উঠেছিল। তিনি একজন ধর্মপ্রচারক বা নবীই শুধু নন, তিনি একজন আদর্শ কর্মীপুরুষ হিসেবেও বিশ্ববাসীর সামনে নবতর কীর্তি স্থাপন করেছিলেন। পৃথিবীর ইতিহাসে তার প্রচারিত আদর্শ, কর্ম এবং মানবতার শিক্ষা অতুলনীয়-অপ্রতিদ্বন্দ্বী।
সংক্ষিপ্ত জীবনকথা: ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে হযরত মুহম্মদ (স) আরব দেশের মক্কা নগরীতে সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আব্দুল্লাহ এবং মাতার আমিনা। তাঁর পূর্বপুরুষ হযরত ইব্রাহিম (আ.)। মুহম্মদের জন্মের ছয় মাস পূর্বে তার পিতার মৃত্যু হয় এবং জন্মের ছয় বছর পরে স্নেহময়ী মা আমিনাও পরলােকগমন করেন। পিতামাতার মৃত্যুর পর হযরত মুহম্মদ (স) প্রথমে পিতামহ আবদুল মুত্তালিব এবং তাঁর মৃত্যুর পর পিতৃব্য আবু তালিবের স্নেহ ছায়ায় লালিত-পালিত হন। জন্মের পূর্বে পিতাকে এবং জন্মের পরে অল্প সময়কালের মধ্যে মাতাকে হারিয়ে শিশু মুহম্মদ মাতাপিতার স্নেহাদর ও যত্ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এজন্যে তাকে অনেক দুঃখ-কষ্ট ও পরিশ্রম করে বড় হয়ে উঠতে হয়েছিল। তাঁর চাচা আবু তালিব ব্যবসায় করতেন কিন্তু তাঁর আর্থিক অবস্থা সচ্ছল ছিল না। ফলে শিশু মুহম্মদকে তার ব্যবসার কাজে ছােটবেলা থেকে সাহায্য-সহযােগিতা করতে হতাে। ছােটবেলা থেকেই শিশু মুহম্মদ (স) এর মধ্যে চিন্তাশীলতা, পরােপকারিতা, সত্যবাদিতা প্রভৃতি গুণের বিকাশ ঘটে। বাল্যকালেই তাঁর সত্যবাদিতার কারণে আরববাসী তাকে 'আল-আমিন (বিশ্বাসী) উপাধিতে ভূষিত করেছিল। মুহম্মদের বাল্যকাল অত্যন্ত দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়েছিল বলেই হয়তাে তিনি পরবর্তী সময়ে সমগ্র মানবজাতির দুঃখ-কষ্ট হৃদয় দিয়ে যথার্থই উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বাল্যকাল থেকে মুহম্মদ অত্যন্ত চিন্তাশীল ও ধীরস্থির মনমানসিকতার অধিকারী ছিলেন বিবি খাদিজাকে বিয়ে করার পর তার জীবনে সাময়িক আর্থিক সচ্ছলতা আসার পর, তিনি পুনরায় ধ্যানে মগ্ন হওয়ার সুযােগ লাভ করেন। তাঁর এ চিন্তার বা ধ্যানের প্রধান বিষয় ছিল। তৎকালীন আরব সমাজের পাপাচার ও নাস্তিকতা কীভাবে দূর করা সম্ভব। নবুয়্যত-প্রাপ্তির পর তিনি আল্লাহর বাণী বিশ্ববাসীর নিকট পৌছে দেয়াই একমাত্র কর্তব্য মনে করেন। তিনি আরববাসীকে বললেন, তােমরা মূর্তিপূজা ত্যাগ করাে এবং নিরাকার আল্লাহর অস্তিত্বকে স্বীকার করাে। তিনি আরও বললেন, 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ' অর্থাৎ এক আল্লাহ ভিন্ন অন্য কোনাে উপাস্য নেই, হযরত মুহম্মদ (স) আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ। এ সত্য প্রচারের ফলে তার ওপর বর্বর আরব জাতি সীমাহীন নির্যাতন আরম্ভ করে। কিন্তু তিনি কোনাে বাধা-বিঘ্ন-বিপত্তির নিকট নতি স্বীকার করলেন না; মহান আল্লাহ তায়ালার ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রেখেই তার আদর্শ প্রচারের কাজ অব্যাহত রাখলেন। তিনি কুরাইশদের এ কথাও বললেন, যদি কুরাইশগণ আমার ডান হাতে সূর্য এবং বাম হাতে চন্দ্রও এনে দেয় তবুও তিনি মহান আল্লাহর আদেশ ও সত্যপ্রচারের কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন না। ইসলামের মহান আদর্শ প্রচারের জন্যেই তাকে প্রিয় জন্মভূমি ত্যাগ করে ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মদিনায় হিজরত করতে হয়। মদিনাবাসীর অকুণ্ঠ সাহায্য-সহযােগিতায় তিনি সেখানেই। ইসলামি রাষ্ট্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে সক্ষম হন। হযরত মুহম্মদ (স) ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে মক্কায় হজব্রত পালনের উদ্দেশ্যে গমন করলে কুরাইশদের সাথে হুদাইবিয়া নামক স্থানে তার এক সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়। ইতিহাসে এ সন্ধি 'হুদাইবিয়ার সন্ধি' হিসেবে পরিচিত। কিন্তু কুরাইশরা পরবর্তীকালে এ সন্ধির শর্তসমূহ উপেক্ষা করায় হযরত মুহম্মদ (স) প্রায় দশ হাজার মুজাহিদ যােদ্ধা নিয়ে মক্কার দিকে অগ্রসর হন। এ সময় মক্কার বীর যােদ্ধাদের অধিকাংশই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় কুরাইশরা দুর্বল হয়ে পড়ে। মুহম্মদকে (স) বাধা দেওয়ার মতাে তাদের শক্তি ছিল না। ফলে অনেকটা বিনা রক্তপাতেই তিনি তাঁর সঙ্গী-
সাথীদের নিয়ে মক্কা নগরী জয় করেন। তার ধৈর্য, সহনশীলতা, দয়া, উদারতা ও বিচক্ষণতায় মক্কা জয়ের অল্প সময়ের মধ্যেই দলে দলে লােকজন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে থাকে। এভাবেই হযরত মুহম্মদ (স) সমগ্র আরব জাতিগােষ্ঠীকে মহান এক আদর্শের ভিত্তিতে ভ্রাতৃত্ববন্ধনে আবদ্ধ করে ইসলামি সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ৬৩ বৎসর বয়সে ইহলােক ত্যাগ করেন। তৎকালীন আরবের প্রেক্ষাপট: হযরত মুহম্মদ (স) এর আবির্ভাবের পূর্বে দীর্ঘ সময়কাল ধরে আরব-বিশ্বের প্রায় সর্বত্র অন্যায়-অত্যাচার, অবিচার- অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা, কুসংস্কার-অজ্ঞতা-কূপমণ্ডূকতা বিদ্যমান ছিল। আরবরা অসংখ্য গােত্র, দল, উপদল ও গােষ্ঠীতে বিভক্ত ছিল। গােত্রে গােত্রে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে (কখনাে কখনাে একেবারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে) রক্ষপাত, যুদ্ধ নিত্যকার ঘটনা ছিল। এ কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজে নারীর কোনাে মর্যাদাই ছিল না। নারীও সম্পত্তির মতাে বিকিকিনি হতাে, নারী- পুরুষে কোনাে পবিত্র বন্ধন ছিল না তৎকালীন আরব সমাজে। বিশেষত তারা মেয়েশিশুকে জীবন্ত কবর দিয়ে মানবতাকে সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করত। মদ্যপান, ব্যভিচার, জুয়া, দস্যুবৃত্তি, নরহত্যা প্রভৃতি অমানবিক আচার আচরণ আরব সমাজের সাধারণ চিত্র ছিল। এ সময়কালের আরব জাতিগােষ্ঠী পরকালেও সম্ভবত বিশ্বাস করত না। হযরত মুহম্মদ (স) মাত্র তেইশ বছরের মধ্যে আত্ম-কোলাহলে লিপ্ত অসংখ্য গােত্র-দলে বিভক্ত আরবজাতিকে সংঘবদ্ধ একটি জাতিরূপে গড়ে তুলেছিলেন। সত্যের আদর্শকে বাস্তবে রূপদান করে তিনি এক অভিনব সমাজ-জীবনের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। অল্পসময়ের মধ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম, কঠোর সাধনা, সংগ্রাম করে তিনি এ সাফল্য লাভ করেন। তাঁর এ অসামান্য কর্মদক্ষতার গুণে তিনি একটি ধর্মরাষ্ট্রের বুনিয়াদ সুদৃঢ়ভাবে গেঁথে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এ ধরনের ধর্ম ও রাষ্ট্রীয় জীবনের উদাহরণ খুঁজে পাওয়া দুরূহ ব্যাপার। মহানবী হযরত মুহম্মদ (স) আমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব। কেননা এ অসামান্য সাংগঠনিক ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষটির চারিত্রিক সততা, অপরের কল্যাণ করার মানসিকতা আমাকে মুগ্ধ করে। তার এ অসাধারণ সাংগঠনিক শক্তি ও ব্যক্তিত্বের জন্যেই শতধাবিভক্ত আরব জাতি এক ইসলাম ধর্মের পতাকাতলে সমবেত হয়েছিল।
হযরত মুহম্মদ (স)-এর চরিত্র: পবিত্র কোরানে উল্লেখ করা হয়েছে, 'হযরতের (স) মধ্যে তােমরা (জীবন-যাত্রার আদর্শের) একটি সুন্দর উদাহরণ পাবে। এ ঘােষণার মধ্যেই মহানবী হযরত মুহম্মদ (স)-এর চরিত্রের সারসংক্ষেপ নিহিত রয়েছে। বিশ্বস্ততা, ন্যায়পরায়ণতা, সহিষ্ণুতা, ধৈর্যশীলতা, উদারতা, সহনশীলতা ইত্যাদি নানাবিধ মহৎ গুণের সমাবেশে হযরত মুহম্মদ (স)-এর চরিত্র হয়ে ওঠে অতুলনীয় মাধুর্যমণ্ডিত। সত্যের প্রতি তাঁর অবিচল নিষ্ঠাই তার সমগ্র জীবনকে সার্থক-সুন্দর অমরত্ব প্রদান করেছে। কেননা সেই 'অন্ধকার যুগের বর্বর মানুষেরাও তার বিশ্বস্ততার প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করে তাকে 'আল-আমিন' উপাধিতে ভূষিত করেছিল। বলা বাহুল্য তিনি একাধারে স্নেহময় পিতা, প্রেমময় স্বামী, সদাশয় ব্যক্তি এবং বিচক্ষণ শাসক ছিলেন। তার হিজরতের পর মদিনাবাসীর সঙ্গে তার যে চুক্তি হয় তা ইতিহাসে মদিনার সনদ' নামে খ্যাত। এ মদিনার সনদকে ঐতিহাসিকগণ 'ম্যাগনাকার্টা হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, ঐ অন্ধকার যুগে জন্মগ্রহণ করে তিনি একজন দক্ষ শাসকের ন্যায় মদিনাবাসীর সঙ্গে। যে চুক্তি সম্পাদন করেছিলেন তার তুলনা ইতিহাসে বিরল। তিনি প্রাণঘাতী শত্রুকেও নির্দ্বিধায় ক্ষমা করে দিয়ে তার মহত্ত্ব ও উদারতার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে মক্কা বিজয়ের কথা স্মরণ করা যেতে পারে ; কেননা তাঁর মহত্ত্ব, ঔদার্য ও দয়াশীলতার কারণে প্রায় রক্তপাতহীন অবস্থায় তিনি মক্কা নগরী জয় করেছিলেন। হযরত মুহম্মদ (স)-এর দারিদ্র্যই ছিল তাঁর গৌরব; তাই আজীবন তিনি দরিদ্রের অধিকার সংরক্ষণের প্রতি সচেতন থেকেছেন। বলা যায়, দরিদ্র-নির্যাতিত, অবহেলিত-বঞ্চিত মানুষের সেবাই তার জীবনের আরেক ব্রত ছিল।
আদর্শ: হযরত মুহম্মদ (স)-এর জীবনের আদর্শ সাম্য, ভ্রাতৃত্ব, প্রীতি ও শান্তির আদর্শ। তাঁর প্রচারিত ধর্ম কেবল কয়েকটি অনুষ্ঠান ও অনুশাসনের নামমাত্র নয়। তার আদর্শের জীবনীশক্তি যারা লাভ করে, অন্যায়-অসত্য তাদের স্পর্শ করতে পারে না। হযরত মুহম্মদ (স) তাঁর জীবনে যে আদর্শ ও বাণী রেখে গিয়েছেন তা আজ পর্যন্ত অম্নান হয়ে আছে। আজও তার কর্ম ও বাণী পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র আদর্শরূপে গৃহীত হচ্ছে। বিশেষত বিদায় হজে তার উপদেশ বাণী চিরস্মরণীয়। তিনি আরাফাতের ময়দানে ঘােষণা করেছিলেন-  
১. 'সকল মানুষই এক আদমের সন্তান, সুতরাং এক দেশের লােকের ওপর অন্য দেশের লােকের আধিপত্যের কোনাে কারণ নেই।'
২. 'এক মুসলমান অন্য মুসলমানের ভ্রাতা, সকল মুসলমানকে নিয়ে এক অবিচ্ছেদ্য ভ্রাতৃসমাজ।' 
৩. 'মানুষের ওপর অত্যাচার করাে না, কারাে অসম্মতিতে তার সামান্য পরিমাণ ধনও গ্রহণ করাে না।' 
৪. 'নারীজাতির প্রতি নির্মম ব্যবহার করাে না। সংসারে নারী ও পুরুষের সমান অধিকার; নারীর প্রতি পুরুষের যে দাবি, পুরুষের প্রতিও নারীর সে দাবি।' 
৫. 'দাস-দাসীকে নির্যাতন করবে না, তাদের মর্মে ব্যথা দিবে না, তােমরা যা খাবে ও পরবে দাস-দাসীকেও তা খেতে ও পরতে দিবে।'
উপসংহার: হযরত মুহম্মদ (স)-এর চারিত্রিক ঔদার্য, মহত্ত্ব এবং পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনের বিচক্ষণতা, জীবনব্যাপী সংগ্রাম-সংযম ও কর্মনৈপুণ্যে সাধারণ মানুষ মুগ্ধই শুধু হয়নি; তাকে একবাক্যে মহামানব, মহাপুরুষ হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছে। যদিও তিনি মানুষের এ ধারণা ভেঙে দিতেই বলেছেন, 'আমি তােমাদের মতােই মানুষ, আমি আল্লাহ তায়ালার দূত ও দাস; আমি দেবতা বা অবতার নই। উপরন্তু বিদায় হজের ভাষণে সারাবিশ্বের মানুষকে ভ্রাতৃত্ববন্ধনে উদ্বুদ্ধ হওয়ার যে উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন, তা বিশ্ব সাম্য-মৈত্রী প্রতিষ্ঠা-প্রচেষ্টার প্রথম উদ্যোগে। তাঁর সমগ্র জীবন দিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন যে, তিনি মানুষের কল্যাণ ও মুক্তির লক্ষ্যেই আজীবন সচেষ্ট ছিলেন। তাঁর প্রচারিত ইসলাম ধর্ম মানব-ইতিহাসে যে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে তা পরােক্ষভাবে মানবতার ইতিহাসেরই নামান্তর। হযরত মুহম্মদ (স)-এর চরিত্র, মানসিক গুণ, মনুষ্যত্ববােধ, অফুরন্ত কর্মশক্তি এবং সর্বোপরি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষকে ভালােবাসার যে হৃদয় তার ছিল; সেই কারণেই তিনি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মানুষ, সর্বকালের সেরা আদর্শ মহাপুরুষ। এজন্যেই তিনি আমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব ও আদর্শ-পুরুষ।

লেখা-লেখি করতে ভালোবাসেন? লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে যুক্ত হতে পারেন আমাদের সাথে Telegram এ!
Post a Comment

Post a Comment